সংবাদচর্চা রিপোর্ট: গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা বিসিবি ও যমুনা ব্যাংকের পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সকলের বাংলাদেশের সব কিছুর সাথে মিশে আছে। আমি শুধু এত টুকি বলি। ১৫ আগস্ট প্রতিবছর আমাদের মাঝে আসে। প্রতিবছর আমরা ১৫ আগস্ট পালন করি। আমরা কিন্তু ভুলে যাই। বঙ্গবন্ধু আমাদের কি দিয়ে গেছে। তিনি আমাদের দেশ দিয়ে গেছেন, ভাষা দিয়ে গেছেন , সংবিধান দিয়েছেন। এটা আমাদের সবার মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধু বেচে থাকলে দুবাই মালয়েশিয়াবাসীরা বাংলাদেশে এসে কাজ করতো। যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। সেই হত্যাকারীরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে হত্যা করে দিয়েছিলো।
শনিবার ( ১৫ আগস্ট) সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে ভোলাব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পেছনে যারা কুশিলব ছিলেন তাদের বিচার দাবি করে মন্ত্রী পুত্র বলেন, ২১ টি বছর আমার নেত্রী তার বাবা এবং পরিবার হত্যার বিচার পায় নাই। আমরা অনেকেই বলি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে কিছু কুলাঙ্গারের। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা সংসদে বসেছে। পতাকার গাড়িতে চড়েছে। কারা তাদের প্রশ্রয় দিয়েছিলো মাথা গোজার জায়গা দিয়েছিলো ? কোন সরকার দিয়েছিলো কারা দিয়েছিলো। কার পাশে বসেছিলো। প্রত্যেকটা লোকের বিচার করা উচিত। শুধু চুরি করতে পারছিলো ঐ সৎ না । যে চুরি করতে সহযোগিতা করে সেও পাপী। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে করে ফ্রিডমপাটি। আমার এখনো মনে পড়ে । ছোট বাচ্চা ছিলাম। কুড়াল মার্কা । মার্কটা সবাই শোনেন কুড়াল।
তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার আপনার মা (খালেদা জিয়া) এবং বাবা ( জিয়া) বাংলাদেশের জনক হত্যা হয়েছে তার বিচার করেন নাই। খুনিদের সাথে ফোনে কথা বলেন তাদের সাথে ঘোরেন আপনাদের মুখে বড় বড় কথা শোভা পায় না।
ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে পাপ্পা গাজী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আপনাদের বলে যাই। আমি ছোট বেলায় আমার স্কুলে পড়ি। হঠাৎ করে আমি দেখি। একজন লোক আসল। তার সাথে পুলিশ বডিগার্ড । আমি আমার ড্রাইভার চাচা আছে তাকে জিজ্ঞাস করতেছিলাম যে চাচা ওটা কে। তখন উনি বলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি দেখো। এতো খারাপ লাগলো। তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি। আজকে আপনারা একটা জিনিস ভুলে যাইয়েন না। যেহেতু বঙ্গবন্ধু হত্যা হয়েছে। জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে । না হয় বাংলাদেশের নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে বিচার তারা করতে দেয় নাই। তারা বড় বড় কথা বলে। তারেক রহমান লন্ডনে বইসা । বহু বড় বড় কথা বলে।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, একটা জিনিস আপনারা সবাই মনে রাখবেন বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য উনার জীবনের রক্তটা দিয়ে গেছেন। এই দিনে আমরা শুধু খাবার খাব না । আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্য এই বাংলার মাটিতে একটু দোয়া করব। তার পরিবারের জন্য দোয়া করব। ১৫ আগস্ট মিটিংয়ের দিন না মিছিলের দিন না এটা শোকের দিন। আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া করব এবং উনার সুযোগ্য সন্তান আমাদের প্রাণ প্রিয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করব। আল্লাহ যেনো উনা হায়াত বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ যেনো উনাকে সুস্থ রাখেন।
ভোলাব বাসীর উদ্দেশ্যে এই তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা বলেন, ২০০৮ সালে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে। তারপর দেশে বহু উন্নয়ন হয়েছে । পদ্মাসেতু হয়ে যাচ্ছে। লোড শেডিং নেই । তিনি বাংলাদেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ১০ বছর পরে ভোলাব ইউনিয়নের চেহারা চিনা যাবে না। আমি আপনাদের একটা কথা বলি ডিজেলের গাড়িতে কখনো পেট্রোল দিতে হয় না। বা পেট্রোলের গাড়িতে কখন ডিজেল দিতে হয় না। আপনার ভুলতার উন্নয়ন দেখে আসেন তারাব পৌর সভার উন্নয়ন দেখে আসেন । যে এলাকায় সরকার আওয়ামী লীগের এমপি আওয়ামী লীগের যদি চেয়ারম্যান থাকে অন্যদলের তাহলে কি সেই এলাকার সহজে উন্নয়ন করা সম্ভব । একজন আরেক জনের কাছে যদি না যায় তাহলে কিভাবে উন্নয়ন সম্ভব। ভোলাব ইউনিয়নের উন্নয়ন আমরাও চাই। সব সময় চাই। আজকে আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করছে। আগামীর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নৌকা মার্কায় আপনারা ভোট দেবেন এটা আমার প্রত্যাশা।
পরে ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় ভোলাব ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাসান আশকারী সহ আওয়ামী লীগ , ছাত্রলীগ ,যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।